স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে দুবাইয়ে এ সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে দুই দেশের সরকারি কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী নাসের বিন থানি জুমা আল হামলি ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এবং বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব নমিতা হালদার ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান উপস্থিত ছিলেন।
আরব আমিরাতের ফেডারেল সরকারের মন্ত্রী নাসের বিন থানি জুমা আল হামলি জানান, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র বিশেষ করে আরব আমিরাতে দক্ষ জনশক্তি আমদানির ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সন্তোষজনক বোঝাপাড়া রয়েছে।
এ জনশক্তি আমদানি দুই দেশের আইন ও নীতিমালার ভিত্তিতেই বাস্তবায়িত হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের নিয়ম-নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশটিতে গৃহকর্মী নিয়োগের কাজ করবে সরকার অনুমোদিত তদবীর সার্ভিস সেন্টার। বাংলাদেশেরও শুধু নিবন্ধিত ও সনদধারী বেসরকারি রিক্রুটমেন্ট এজেন্সিগুলো সেখানে কাজ করতে ইচ্ছুকদের তালিকা পাঠাতে পারবে।
নিয়োগপত্রে কাজের বিবরণ, বেতন, অন্যান্য সুবিধা, খাবার, আবাসন ও প্রয়োজনে পরিবহনের ব্যবস্থার কথা উল্লেখ থাকবে। ওয়েজেস প্রটেকশন সিস্টেমের আওতায় বেতন দেওয়া হবে।
ডোমেস্টিক ওয়ার্কার্স শ্রেনিতে শ্রমিক, নাবিক, ওয়াচম্যান, মেষপালক, সহিস, পাখিপালক, হাউজকিপার, বাবুর্চি, আয়া, কৃষক, বাগানকর্মী, প্রাইভেট টিউটর, প্রাইভেট ট্রেইনার, ফার্ম সুপারভাইজার ও গাড়িচালক নেওয়া হবে।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ চুক্তি স্বাক্ষর ভিসা সংকট নিরসনের ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক অধ্যায়ের সূচনা করল। এটা শুরু মাত্র, আমরা আশা করি আস্তে আস্তে সব সংকটের একটা সুরাহা হবে।”
এর আগে গত ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি ৮ বছর পর সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশের মধ্যকার যৌথ কমিশনের চতুর্থ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
২০১২ সালের মধ্য অগাস্ট থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশিদের জন্য সব ধরনের ভিসা বন্ধ রয়েছে।
জনশক্তি আমদানিতে এ সমঝোতা চুক্তি আমিরাত সরকারের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচায়ক বলে মনে করছেন দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিরা।
২০১২ সালের আগস্ট থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশিদের কাজ করার জন্য ভিসা দেয়া বন্ধ
0 Comments