Subscribe Us

header ads

এই না হলে ব্রাজিলের সমর্থক!

ফুটবল বিশ্বকাপ ২০১৮

এই না হলে ব্রাজিলের সমর্থক!

আগামী জুনে রাশিয়ায় ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে৷ তখন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা নিয়ে বন্ধুদের মধ্যে শুরু হবে তর্কযুদ্ধ৷ কে কতবড় সমর্থক তা প্রমাণের চেষ্টাও শুরু হবে৷ কিন্তু কারও পক্ষে কি ব্রাজিলের নেলসন পাভিওত্তিকে হারানো সম্ভব?
default
১৯৯৪ সালের পর থেকে পেশায় আইনজীবী পাভিওত্তির জীবন শুধু হলুদ আর সবুজময়৷ তখন থেকে এখন পর্যন্ত যে পোশাকই তিনি পরেছেন, পায়ে যে জুতাটি লাগিয়েছেন, সবগুলোর রংয়েই ছিল সবুজ আর হলুদের ছোঁয়া৷ এমনকি খাবারও খাচ্ছেন ব্রাজিলের পতাকার রংয়ের৷ সবুজ-হলুদ ফলমূল, এই দুই রংয়ের জেলি, বাদাম, অর্থাৎ যা কিছু সবুজ আর হলুদ শুধু সেগুলোই খাচ্ছেন পাভিওত্তি৷
শুধু তাই নয়, ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের সময় তাঁর বিছানার চাদর, গাড়ি, অফিসের আসবাবপত্র সবই ছিল সবুজ আর হলুদ রংয়ের৷ বাড়ির সামনের রাস্তায় ছিল ব্রাজিলের পতাকা৷ বাড়ির সদর দরজার গ্রিলেও ছিল এই দুই রংয়ের স্পর্শ৷
পায়ে যে জুতাটি লাগিয়েছেন, সবগুলোর রংয়েই ছিল সবুজ আর হলুদের ছোঁয়া
পায়ে যে জুতাটি লাগিয়েছেন, সবগুলোর রংয়েই ছিল সবুজ আর হলুদের ছোঁয়া
পাঠক এতক্ষণে নিশ্চয়্ই ভাবছেন, ঘটনা কী? কেন পাভিওত্তি এমন করছেন? উত্তর, প্রিয় দলের সমর্থনে একসময় যে অঙ্গীকার তিনি করেছিলেন, তা রক্ষা করা৷
১৯৯৪ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের সময় পাভিওত্তি অঙ্গীকার করেছিলেন, যদি সেবার ব্রাজিল বিশ্বকাপ জেতে তাহলে সারা জীবন জাতীয় পতাকার রংয়ে কাটিয়ে দেবেন তিনি৷ এখন সেই কাজটিই করে যাচ্ছেন তিনি৷
পাভিওত্তির এই অদ্ভুত আচরণ ফিফাসহ অনেকের নজর কেড়েছে৷ তাইতো তাঁকে নিয়ে নির্মিত একটি ভিডিও রাখা হয়েছে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরে অবস্থিত ফিফার জাদুঘরে৷ সম্প্রতি সেই জাদুঘর পরিদর্শন করেছেন পাভিওত্তি৷

Post a Comment

0 Comments