রাতের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা রাখা ছিল হলদিয়া, পাহাড়তলী ও উরকিরচরে।
অক্লান্ত ফজলে করিম মানুষের ভালোবাসায় অভিভূত
এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর নিজ উপজেলার জনসাধারণকে নিয়ে পায়ে হেঁটে রাউজান ঘুরে দেখার কর্মসূচিতে তিনদিন অতিবাহিত করেছেন। এই কর্মসূচিতে তিনি ছিলেন অক্লান্ত। তবে মানুষের ভালোবাসায় অভিভূত। আজ ১৯ এপ্রিল সকাল আটটায় উরকিরচর থেকে বের হয়ে তিনি যাবেন পশ্চিম গুজরা, পূর্বগুজরা, বিনাজুরী হয়ে গহিরা পৌর এলাকায়। এখানে এসে তিনি তার কর্মসূচির সমাপ্তি টানবেন। গত ১৬ এপ্রিল থেকে শুরু করার কর্মসূচিতে নেমে তিনি কয়েক’শ অনুসারিকে নিয়ে প্রতিদিন ১০ ঘন্টা করে হেঁটেছেন গ্রামীণ রাস্তাঘাট ধরে। যেখানে সন্ধ্যা হয়েছে সেখানেই রাত কাটিয়েছেন সঙ্গে থাকা লোকজনকে সাথে নিয়ে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে হেঁটে সাংসদ একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নে ঘুরে দেখেছেন রাস্তাঘাট। কুশল বিনিময় করেছেন গ্রামীণ মানুষের সাথে। চলমান কর্মসূচিতে যেখানে সন্ধ্যা হয়েছে সেখানে রাত কাটিয়েছেন। গত তিন রাত কেটেছে হলদিয়া, পাহাড়তলী ও উরকিরচর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে। দুপুরের খাবার খেয়েছেন নোয়াজিশপুর, রাউজান ও নোয়াপাড়ায়। রাতের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা রাখা ছিল হলদিয়া, পাহাড়তলী ও উরকিরচরে।
খবর নিয়ে জানা যায়, হাঁটার পথে তিনি ও তার দলবল একাধিকবার ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে পড়েছেন। বৃষ্টি ভেজা ক্লান্তিহীন শরীরে কয়েক হাজার মানুষকে সাথে নিয়ে এগিয়েছেন নির্দিষ্ট গন্তব্যে। বিভিন্ন গ্রামের নারী পুরুষরা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরীকে স্বাগত জানিয়েছেন। রাউজানে ব্যতিক্রমী এই কর্মসূচি পালনকালে সাংসদসহ অংশগ্রহণকারীরা পিংক কালারের টি শার্ট ও টুপি পড়েছিলেন। সাথে রাখা ব্যাগে ছিল নিজেদের ব্যবহারের প্রয়োজনীয় কাপড়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের পক্ষে রাউজানের পথঘাট সাজানো হয়েছে অনন্য সাজে। পথে পথে তোরণ দিয়ে টাঙ্গানো হয়েছে ব্যানার ফেস্টুন।
গ্রামের অনেককেই হাতে বিভিন্ন ধরণের ফল নাস্তা ও পানীয় নিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কর্মসূচিতে থাকা লোকজন ওসব খাবার গ্রহণ করেছেন ক্লান্ত শরীরে হাত বাড়িয়ে। কর্মসূচি চলাকালে পথে পথে তিনি পথসভাও করেছেন। ওসব সভা পরিণত হয়েছিল জনসভায়। তিনি শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে নৌকায় ভোট চান। হেঁটে দেখার এই কর্মসূচিতে থাকাকালে তিনি যেখানে রাস্তাঘাট ও ব্রিজ কালভার্ট খারাপ ও নদী ভাঙ্গন দেখেছেন সেখানে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ডেকে এনে দ্রুত প্রকল্প গ্রহণ করতে তাগিদ দিয়েছেন।
গত তিন দিনে সাংসদের এই কর্মসূচিতে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত, রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র বশির উদ্দিন খান, কাউন্সিলর কাজী ইকবাল, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, রাউজান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল, আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী রানা, চেয়ারম্যান বিএম জসিম উদ্দিন হিরু, চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন, চেয়ারম্যান আবদুর রহমান, চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, চেয়ারম্যান ভুপেশ বড়ুয়া, চেয়ারম্যান দিদারুল আলম, চেয়ারম্যান নুরুল আবসার বাশি, দুলাল বড়ুয়া, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, খোরশেদ আলম, এডভোকেট দিপক দত্ত, নুরুল ইসলাম শাহজাহান, ইরফান আহমদ চৌধুরী, কামরুল হাসান বাহাদুর, আলমগীর আলী, কাজী ইকবাল, নুরুল আবসার মিয়া, নসরুল্লাহ চৌধুরী লালু, দুলাল বড়ুয়া, জাফর আহমদ, মঞ্জুর হোসেন, আবদুল লতিফ, সুমন দে, ম্যালকম চক্রবর্তী, আলহাজ আহসান হাবীব, সারজু নাছের, শওকত হোসেন, মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বাবুল মিয়া মেম্বার, মহিউদ্দিন ইমন, সোলাইমান বাদশা, এস এম জাহাঙ্গীর আলম সুমন, নুরুন নবী, দোস্ত মোহাম্মদ, তপন দে, জাবেদ রহীম, অনুপম চক্রবর্তী. মো. আসিফ.আবু ছালেক, জিল্লুর রহমান মাসুদ. শাখাওয়াত হোসেন পিপলু, সৈয়্যদ মেজবা উদ্দিন, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, আমীর হামজা, রাসেল, রুবেল বৈদ্য, নাহীদ হোসেন, সাহাবউদ্দীন, মামুন, হাসান, নিশান, শেখ মনিরসহ সহস্রাধিক নেতাকর্মী।
0 Comments