আসসালামুয়ালাইকুমআসা করি ভাল আছেন সবাইপেশায় একজন ক্ষুদ্র ফ্রীলাঞ্চার তাই ২-১ টা পোস্ট ফ্রীলাঞ্চেইং নিয়ে করিকিছু জানানোর চেষ্টা করি আর অনেক কিছু জানার চেষ্টা করিদুঃখের বিষয় এটা বাংলাদেশ তাই যখন কোন কিছু জানানোর চেষ্টা করি পড়তে অনেক প্রশ্নের সামনেবলতে পারেন আপনি যদি জানেন তো উত্তর দিতে সমস্যা কী? কারন হচ্ছে আমরা যখন কোন কিছু শিখে ফেলি তখন এমন একটা ভাব নেই যেন আমি ছাড়া আর কেউ এটার ব্যাপারে এক্সপার্ট নয়কারন হচ্ছে গত মাস ২ ইয়েক দিন আগে আমি একটা পোস্ট করেছিলাম "একটি ফেসবুক পেজ হতে পারে আপনার আয়ের প্রধান উৎস" অনেকে ফেসবুক এ আমার অনেক প্রশংসা করেছিলেন ধন্যবাদ আপনাদেরকিন্তু কিছু সিনিয়র শ্রদ্ধেয় বড় ভাই আমার ইন্টার্ভিউ নিয়েছেন আমার ইনবক্স একিছু বলিনি যা প্রশ্ন করেছে উত্তর দিয়েছি কিন্তু উত্তর শেষে বলেন তিনি ফ্রীলাঞ্চের তিনি অমুক তিনি সমুকভাই সিনিয়র ভাইদের শ্রদ্ধার সাথে বলছি আপনার গুণগান কারো ইনবক্স এ করতে হবে না গুণ থাকলে সবাই আপনার গুনগান করবেকারো খারাপ লাগলে আমার কিছু করার নাই
আসুন আসল কথায় আসি ফেসবুক এর মাধ্যমে আয় করা যায় এটা নতুন কথা নয়আজ সকালে কালেরকন্থ
পত্রিকায় এফ-কমার্স বিষয়ে প্রতিবেদন টি পড়ে খুব ভাল লাগল তাই পুরোটা আপনাদের জন্য শেয়ার করলাম ।
মাস্টার্স শেষে দীর্ঘদিন বেকার থাকার পর প্রিন্সের মাথায় হঠাৎ এক খেয়াল চাপলআগে ফেসবুকে বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে চ্যাট করে, পোস্ট দিয়ে বেশির ভাগ সময় কাটিয়ে দিতেনএবার ফেসবুকে তিনি একটা পেজ খুললেননাম দিলেন 'বিভো'নিউ মার্কেট, গাউছিয়া, ইসলামপুর থেকে বিভিন্ন আনস্টিচ ও স্ক্রিন প্রিন্টের থ্রিপিস কিনে সেসব জামার ছবি পেজে আপলোড দিতে থাকলেনতাতে উল্লেখ থাকল দরদামসহ ডেলিভারি দেওয়ার নিয়মপেজে লাইকের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকল এবং ইনবক্সে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে শুরু করল পণ্য সরবরাহের অর্ডারদিনে দিনে বাড়তে থাকল অর্ডারের পরিমাণপ্রিন্স জানান, কাস্টমাররা বিকাশের নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেনএরপর তাদের ঠিকানায় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পোশাক পাঠিয়ে দেওয়া হয়এখন প্রতিদিন তিন থেকে চারটা অর্ডার পাচ্ছেন তিনিমাসে তার গড় আয় ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা
মুকুল ভালো ছবি তোলেনবিষয়টা ফেসবুকের একটা পেজের মাধ্যমে জানালেন তাঁর সার্কেলেবিয়েসহ বিভিন্ন ইভেন্টে তাঁর তোলা ছবি আপলোড করতেন নিয়মিতএখন তিনি রীতিমতো ব্যস্ত ফটোগ্রাফারপ্রতিদিনই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁর ডাক পড়ে
একটি কম্পিউটার ফার্মে থাকাকালে পিসি মেরামতের কাজটা ভালোভাবেই রপ্ত করেছিলেন শিহাবএ সময়টাতে শিখে নিয়েছিলেন টিভি মেরামতের কাজওএখন তিনি ঢাকার ধানমণ্ডি ও আশপাশে কম্পিউটার ও কম্পিউটার যন্ত্রাংশ বিক্রি করেনপাশাপাশি বাসাবাড়িতে গিয়ে কম্পিউটার ও টিভি মেরামতের কাজ করেনশিহাব জানান, বেশির ভাগ অর্ডার আসে ফেসবুকের একটা পেজের মাধ্যমেএখন তিনি ভালো আয় করছেন
এভাবে এফ-কমার্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের অনেক বেকার তরুণ-তরুণী এখন স্বাবলম্বীশুধুমাত্র ফেসবুকের মাধ্যমে দেশে ব্যবসা করছে বা নানা ধরনের সেবা দিচ্ছে, এই ধরনের পেজ এখন চার শর ওপরঘরে বসেই এসব ব্যবসা পরিচালনা করছেন উদ্যোক্তারা
এফ-কমার্স কী ও কেন
ফেসবুকভিত্তিক ই-কমার্সই এখন পরিচিত এফ-কমার্স নামেএটি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের (এসএমএম) একটা শাখাঅল্প পুঁজিতে, এমনকি বিনা পুঁজিতে এ ব্যবসা করা যায়কোনো দোকানঘর লাগে না, ব্যবসা পরিচালনা করা যায় ঘরে বসেইদেশের যেখানেই থাকুন না কেন, ক্রেতার চাহিদামতো পণ্য ডেলিভারি দিতে পারলে এ ব্যবসায় সাফল্য আসবেইএফ-কমার্সে সফলতা নির্ভর করবে সামাজিক যোগাযোগে আপনার পারদর্শিতার ওপরআর এ কাজটির জন্য খরচার দরকার নেইপেজের লাইক সংখ্যা যত বেশি হবে, আপনার পণ্য তত বেশি মানুষের কাছে পৌঁছবেলাইক বাড়াতে আপনার চেষ্টাই যথেষ্টশুরুর দিকে পরিচিতজনদের 'ইনভাইট' করুন, বেশি বেশি শেয়ার দিন
ই-কমার্সের সঙ্গে এফ-কমার্সের পার্থক্য
ওয়েবসাইটে পণ্য বা সেবার তথ্য সাজানো থাকে ই-কমার্সে, থাকে একটি পেমেন্ট গেটওয়ে, যার সাহায্যে ক্রেতারা পণ্য অর্ডারের পর মূল্য পরিশোধ করতে পারেনই-কমার্স প্রতিষ্ঠান পণ্য পৌঁছে দেয় ক্রেতার কাছেঅন্যদিকে এফ-কমার্সে কোনো ওয়েবসাইটের দরকার হয় নাব্যবসা পরিচালনা করা যায় ফেসবুকে একটা ব্যবসায়িক পেজে খুলেএতে থাকে বিভিন্ন পণ্যের ছবি, বিবরণ, দরদাম, যোগাযোগের ঠিকানা প্রভৃতি তথ্যএখানে কোনো পেমেন্ট গেটওয়ে থাকে নাপণ্য বা সেবা নিতে হলে ফেসবুক পেজে পণ্যের অর্ডার দিতে হয়চাইলে শোরুমে গিয়েও পণ্য বা সেবা নিতে পারেন ক্রেতা বা গ্রাহক
টার্গেট কোটি কাস্টমার!
বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ জানুয়ারি ২০১৫ পর্যন্ত এক কোটি ১৮ লাখ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী ব্যবহারকারী রয়েছেন প্রায় ৯৮ লাখএর মধ্যে পুরুষ ৭৮ লাখ এবং নারী প্রায় ২০ লাখঅথচ ২০০৯ সালেও দেশে ফেসবুকের ব্যবহারকারী ছিল এক লাখের কমবিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এখন অনেক বড় বাজারএকে কেন্দ্র করে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোক্তাঅনেকেই এখন ফেসবুকেই শুরু করেছেন ব্যবসানিজের একটি বিজনেস পেজ খুলে তাতে প্রোডাক্টের ছবি আপলোড করে পণ্য বিক্রি করছেন
শুরুটা হোক এখনই
আপনি হয়তো মাটির তৈজসপত্র বানাতে পারেনকিংবা বাইরে থেকে উপহারসামগ্রী বা অন্য কোনো পণ্য আনার সোর্স আছে আপনারহতে পারে, একটা নির্দিষ্ট এলাকায় ভালো মানের খাবার সরবরাহ করতে চানঅথবা কোনো এলাকায় টিভি, ফ্রিজ বা কম্পিউটার মেরামতের সেবা দিতে চানশুরু করে দিনপ্রথম প্রথম হয়তো অর্ডার কম পাবেনআস্তে আস্তে দেখবেন ভোক্তারা আপনাকে ঠিকই বেছে নিচ্ছেএকপর্যায়ে দেখবেন আপনি আর একা সামলাতে পারছেন না, ব্যবসার পরিসর বাড়ানোর জন্য তখন দরকার হচ্ছে লোকবলব্যস, আপনি হয়ে গেলেন একজন সফল ব্যবসায়ী
পেজ তৈরি করবেন যেভাবে
প্রথমে ফেসবুকে আপনার আইডি থেকে www.facebook.com/pages/create ঠিকানায় যান ।
এখানে Local Business or Place; Company, Organization or Institution; Brand or Product; Artist, Band or Public Figure; Entertainment; Cause or Community নামে ছয়টি ক্যাটাগরি দেখা যাবেধরা যাক, আপনি Product ক্যাটাগরিতে থেকে পেজ তৈরি করতে চাচ্ছেনসে ক্ষেত্রে Brand or Product অংশে ক্লিক করলে দুটি অপশন আসবেপ্রথম অংশে ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে বলা হবেঅন্য অংশে পেজের একটি নাম দিতে হবেএরপর Get Started বাটনে ক্লিক করতে হবেএরপর চারটি ধাপ আসবে যা পূরণ করতে হবেচাইলে কিছু ধাপ Skip করা যাবেতবে পরে তা পূরণ করতে হবেপ্রোফাইল ছবিও আপলোড করতে হবেবেসিক ইনফো অংশে কিছু তথ্য দিয়ে অ্যাবাউট অংশে পেজ সম্পর্কে কিছু বর্ণনা দিতে হবেএবার Continueবাটনে ক্লিক করলে আপনার পেজটি তৈরি হয়ে যাবেএখন একটি Like বাটন দেখতে পাবেন যাতে ক্লিক করে আপনি প্রথম লাইক দিতে পারেনএখন কাজ হলো পেজের ওপরের অংশেBuild Audience অপশনে গিয়ে Invite Friends অপশন থেকে আপনার বন্ধুদের ইনভাইট করাপেজে কোনো পরিবর্তন করতে চাইলে Edit Page বাটনে ক্লিক করে তথ্য পরিবর্তন করা যাবে
এফ-কমার্স
আপনাকে যা করতে হবে
শুরুর আগে
- কী ধরনের পণ্য বা সার্ভিস ডেলিভারি দেবেন প্রথমে তা ঠিক করুনহতে পারে গয়না, পোশাক, উপহারসামগ্রী বা অন্য কিছু
- হুট করে শুরু না করে যাচাই করে দেখুন বাজারে কোন পণ্যের চাহিদা বেশি এবং কোনটি দূর-দূরান্তে ডেলিভারি দিলে ভালো চলবেশুরুতে অনেক ধরনের পণ্য বিক্রির চিন্তা বাদ দিয়ে এক ধরনের পণ্য নিয়ে শুরু করতে পারেন
- গুণগত মানসম্পন্ন, আকর্ষণীয় এবং ব্যতিক্রমী কোনো পণ্য বেছে নিতে হবে
- কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা কারা, তা নির্ধারণ করুনছেলে না মেয়েদের জন্য পণ্য ছাড়বেন, তা ভাবুনতবে শিশু ও নারীদের পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে
- কোন কোন এলাকায় পণ্য বা সেবা পৌঁছাতে পারবেন তা ঠিক করুনবাসায় বা শোরুমও রাখতে পারেন
- পণ্য ডেলিভারির ব্যাপারে ভালো কোনো কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাপ করে রাখুন
শুরুর পরে
-ব্র্যান্ডিংয়ে মনোযোগ দিনপণ্য বা সার্ভিসটির উপস্থাপনা স্মার্টভাবে করুনফেসবুক পেজে আকর্ষণীয় ছবি দিন
- আস্তে আস্তে লাইক বাড়াতে থাকুনএ জন্য আপনার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা
বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজন বা শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাহায্য নিনতাদের বলুন আপনার পেজটা শেয়ার করতে
- লাইক বাড়ানোর জন্য পেজে ব্যতিক্রমী কিছু পোস্ট করুনযেমন হতে পারে ধাঁধা বা কুইজ প্রতিযোগিতা, যাতে থাকতে পারে আকর্ষণীয় পুরস্কার
- অন্যান্য বিজনেস পেজেও আপনার পেজটি প্রচার করুন, তাদেরগুলোও আপনার পেজে প্রচার করতে পারেন
- বিভিন্ন সাইটে, ব্লগে, মিডিয়ায় পেইজ ও ব্যবসার প্রচার চালান
- আপনি যে এলাকা থেকে পণ্য সরবরাহ করবেন (হতে পারে আপনার বাসা) তার ঠিকানা, ফোন নম্বর দিন
- পেমেন্ট সিস্টেমটি ভালোভাবে উল্লেখ করুন, এতে যেন কোনো জটিলতা না থাকেসেটা হতে পারে মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমে লেনদেন ।
আসুন আসল কথায় আসি ফেসবুক এর মাধ্যমে আয় করা যায় এটা নতুন কথা নয়আজ সকালে কালেরকন্থ
পত্রিকায় এফ-কমার্স বিষয়ে প্রতিবেদন টি পড়ে খুব ভাল লাগল তাই পুরোটা আপনাদের জন্য শেয়ার করলাম ।
মাস্টার্স শেষে দীর্ঘদিন বেকার থাকার পর প্রিন্সের মাথায় হঠাৎ এক খেয়াল চাপলআগে ফেসবুকে বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে চ্যাট করে, পোস্ট দিয়ে বেশির ভাগ সময় কাটিয়ে দিতেনএবার ফেসবুকে তিনি একটা পেজ খুললেননাম দিলেন 'বিভো'নিউ মার্কেট, গাউছিয়া, ইসলামপুর থেকে বিভিন্ন আনস্টিচ ও স্ক্রিন প্রিন্টের থ্রিপিস কিনে সেসব জামার ছবি পেজে আপলোড দিতে থাকলেনতাতে উল্লেখ থাকল দরদামসহ ডেলিভারি দেওয়ার নিয়মপেজে লাইকের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকল এবং ইনবক্সে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে শুরু করল পণ্য সরবরাহের অর্ডারদিনে দিনে বাড়তে থাকল অর্ডারের পরিমাণপ্রিন্স জানান, কাস্টমাররা বিকাশের নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেনএরপর তাদের ঠিকানায় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পোশাক পাঠিয়ে দেওয়া হয়এখন প্রতিদিন তিন থেকে চারটা অর্ডার পাচ্ছেন তিনিমাসে তার গড় আয় ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা
মুকুল ভালো ছবি তোলেনবিষয়টা ফেসবুকের একটা পেজের মাধ্যমে জানালেন তাঁর সার্কেলেবিয়েসহ বিভিন্ন ইভেন্টে তাঁর তোলা ছবি আপলোড করতেন নিয়মিতএখন তিনি রীতিমতো ব্যস্ত ফটোগ্রাফারপ্রতিদিনই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁর ডাক পড়ে
একটি কম্পিউটার ফার্মে থাকাকালে পিসি মেরামতের কাজটা ভালোভাবেই রপ্ত করেছিলেন শিহাবএ সময়টাতে শিখে নিয়েছিলেন টিভি মেরামতের কাজওএখন তিনি ঢাকার ধানমণ্ডি ও আশপাশে কম্পিউটার ও কম্পিউটার যন্ত্রাংশ বিক্রি করেনপাশাপাশি বাসাবাড়িতে গিয়ে কম্পিউটার ও টিভি মেরামতের কাজ করেনশিহাব জানান, বেশির ভাগ অর্ডার আসে ফেসবুকের একটা পেজের মাধ্যমেএখন তিনি ভালো আয় করছেন
এভাবে এফ-কমার্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের অনেক বেকার তরুণ-তরুণী এখন স্বাবলম্বীশুধুমাত্র ফেসবুকের মাধ্যমে দেশে ব্যবসা করছে বা নানা ধরনের সেবা দিচ্ছে, এই ধরনের পেজ এখন চার শর ওপরঘরে বসেই এসব ব্যবসা পরিচালনা করছেন উদ্যোক্তারা
এফ-কমার্স কী ও কেন
ফেসবুকভিত্তিক ই-কমার্সই এখন পরিচিত এফ-কমার্স নামেএটি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের (এসএমএম) একটা শাখাঅল্প পুঁজিতে, এমনকি বিনা পুঁজিতে এ ব্যবসা করা যায়কোনো দোকানঘর লাগে না, ব্যবসা পরিচালনা করা যায় ঘরে বসেইদেশের যেখানেই থাকুন না কেন, ক্রেতার চাহিদামতো পণ্য ডেলিভারি দিতে পারলে এ ব্যবসায় সাফল্য আসবেইএফ-কমার্সে সফলতা নির্ভর করবে সামাজিক যোগাযোগে আপনার পারদর্শিতার ওপরআর এ কাজটির জন্য খরচার দরকার নেইপেজের লাইক সংখ্যা যত বেশি হবে, আপনার পণ্য তত বেশি মানুষের কাছে পৌঁছবেলাইক বাড়াতে আপনার চেষ্টাই যথেষ্টশুরুর দিকে পরিচিতজনদের 'ইনভাইট' করুন, বেশি বেশি শেয়ার দিন
ই-কমার্সের সঙ্গে এফ-কমার্সের পার্থক্য
ওয়েবসাইটে পণ্য বা সেবার তথ্য সাজানো থাকে ই-কমার্সে, থাকে একটি পেমেন্ট গেটওয়ে, যার সাহায্যে ক্রেতারা পণ্য অর্ডারের পর মূল্য পরিশোধ করতে পারেনই-কমার্স প্রতিষ্ঠান পণ্য পৌঁছে দেয় ক্রেতার কাছেঅন্যদিকে এফ-কমার্সে কোনো ওয়েবসাইটের দরকার হয় নাব্যবসা পরিচালনা করা যায় ফেসবুকে একটা ব্যবসায়িক পেজে খুলেএতে থাকে বিভিন্ন পণ্যের ছবি, বিবরণ, দরদাম, যোগাযোগের ঠিকানা প্রভৃতি তথ্যএখানে কোনো পেমেন্ট গেটওয়ে থাকে নাপণ্য বা সেবা নিতে হলে ফেসবুক পেজে পণ্যের অর্ডার দিতে হয়চাইলে শোরুমে গিয়েও পণ্য বা সেবা নিতে পারেন ক্রেতা বা গ্রাহক
টার্গেট কোটি কাস্টমার!
বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ জানুয়ারি ২০১৫ পর্যন্ত এক কোটি ১৮ লাখ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী ব্যবহারকারী রয়েছেন প্রায় ৯৮ লাখএর মধ্যে পুরুষ ৭৮ লাখ এবং নারী প্রায় ২০ লাখঅথচ ২০০৯ সালেও দেশে ফেসবুকের ব্যবহারকারী ছিল এক লাখের কমবিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এখন অনেক বড় বাজারএকে কেন্দ্র করে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোক্তাঅনেকেই এখন ফেসবুকেই শুরু করেছেন ব্যবসানিজের একটি বিজনেস পেজ খুলে তাতে প্রোডাক্টের ছবি আপলোড করে পণ্য বিক্রি করছেন
শুরুটা হোক এখনই
আপনি হয়তো মাটির তৈজসপত্র বানাতে পারেনকিংবা বাইরে থেকে উপহারসামগ্রী বা অন্য কোনো পণ্য আনার সোর্স আছে আপনারহতে পারে, একটা নির্দিষ্ট এলাকায় ভালো মানের খাবার সরবরাহ করতে চানঅথবা কোনো এলাকায় টিভি, ফ্রিজ বা কম্পিউটার মেরামতের সেবা দিতে চানশুরু করে দিনপ্রথম প্রথম হয়তো অর্ডার কম পাবেনআস্তে আস্তে দেখবেন ভোক্তারা আপনাকে ঠিকই বেছে নিচ্ছেএকপর্যায়ে দেখবেন আপনি আর একা সামলাতে পারছেন না, ব্যবসার পরিসর বাড়ানোর জন্য তখন দরকার হচ্ছে লোকবলব্যস, আপনি হয়ে গেলেন একজন সফল ব্যবসায়ী
পেজ তৈরি করবেন যেভাবে
প্রথমে ফেসবুকে আপনার আইডি থেকে www.facebook.com/pages/create ঠিকানায় যান ।
এখানে Local Business or Place; Company, Organization or Institution; Brand or Product; Artist, Band or Public Figure; Entertainment; Cause or Community নামে ছয়টি ক্যাটাগরি দেখা যাবেধরা যাক, আপনি Product ক্যাটাগরিতে থেকে পেজ তৈরি করতে চাচ্ছেনসে ক্ষেত্রে Brand or Product অংশে ক্লিক করলে দুটি অপশন আসবেপ্রথম অংশে ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে বলা হবেঅন্য অংশে পেজের একটি নাম দিতে হবেএরপর Get Started বাটনে ক্লিক করতে হবেএরপর চারটি ধাপ আসবে যা পূরণ করতে হবেচাইলে কিছু ধাপ Skip করা যাবেতবে পরে তা পূরণ করতে হবেপ্রোফাইল ছবিও আপলোড করতে হবেবেসিক ইনফো অংশে কিছু তথ্য দিয়ে অ্যাবাউট অংশে পেজ সম্পর্কে কিছু বর্ণনা দিতে হবেএবার Continueবাটনে ক্লিক করলে আপনার পেজটি তৈরি হয়ে যাবেএখন একটি Like বাটন দেখতে পাবেন যাতে ক্লিক করে আপনি প্রথম লাইক দিতে পারেনএখন কাজ হলো পেজের ওপরের অংশেBuild Audience অপশনে গিয়ে Invite Friends অপশন থেকে আপনার বন্ধুদের ইনভাইট করাপেজে কোনো পরিবর্তন করতে চাইলে Edit Page বাটনে ক্লিক করে তথ্য পরিবর্তন করা যাবে
এফ-কমার্স
আপনাকে যা করতে হবে
শুরুর আগে
- কী ধরনের পণ্য বা সার্ভিস ডেলিভারি দেবেন প্রথমে তা ঠিক করুনহতে পারে গয়না, পোশাক, উপহারসামগ্রী বা অন্য কিছু
- হুট করে শুরু না করে যাচাই করে দেখুন বাজারে কোন পণ্যের চাহিদা বেশি এবং কোনটি দূর-দূরান্তে ডেলিভারি দিলে ভালো চলবেশুরুতে অনেক ধরনের পণ্য বিক্রির চিন্তা বাদ দিয়ে এক ধরনের পণ্য নিয়ে শুরু করতে পারেন
- গুণগত মানসম্পন্ন, আকর্ষণীয় এবং ব্যতিক্রমী কোনো পণ্য বেছে নিতে হবে
- কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা কারা, তা নির্ধারণ করুনছেলে না মেয়েদের জন্য পণ্য ছাড়বেন, তা ভাবুনতবে শিশু ও নারীদের পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে
- কোন কোন এলাকায় পণ্য বা সেবা পৌঁছাতে পারবেন তা ঠিক করুনবাসায় বা শোরুমও রাখতে পারেন
- পণ্য ডেলিভারির ব্যাপারে ভালো কোনো কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাপ করে রাখুন
শুরুর পরে
-ব্র্যান্ডিংয়ে মনোযোগ দিনপণ্য বা সার্ভিসটির উপস্থাপনা স্মার্টভাবে করুনফেসবুক পেজে আকর্ষণীয় ছবি দিন
- আস্তে আস্তে লাইক বাড়াতে থাকুনএ জন্য আপনার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা
বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজন বা শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাহায্য নিনতাদের বলুন আপনার পেজটা শেয়ার করতে
- লাইক বাড়ানোর জন্য পেজে ব্যতিক্রমী কিছু পোস্ট করুনযেমন হতে পারে ধাঁধা বা কুইজ প্রতিযোগিতা, যাতে থাকতে পারে আকর্ষণীয় পুরস্কার
- অন্যান্য বিজনেস পেজেও আপনার পেজটি প্রচার করুন, তাদেরগুলোও আপনার পেজে প্রচার করতে পারেন
- বিভিন্ন সাইটে, ব্লগে, মিডিয়ায় পেইজ ও ব্যবসার প্রচার চালান
- আপনি যে এলাকা থেকে পণ্য সরবরাহ করবেন (হতে পারে আপনার বাসা) তার ঠিকানা, ফোন নম্বর দিন
- পেমেন্ট সিস্টেমটি ভালোভাবে উল্লেখ করুন, এতে যেন কোনো জটিলতা না থাকেসেটা হতে পারে মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমে লেনদেন ।
0 Comments